Thursday, August 1, 2013

বিশ্ব ইতিহাসের সর্বোচ্চ কয়েকটি টর্নেডো

বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টর্নেডো সমূহের কথা

টর্নেডো (Tornado)  স্প্যানিশ শব্দ ট্রনাডা (Tronada) থেকে এসেছে যার মানে হল বজ্রঝড় (Thundestrom)বিজ্ঞানীরা এখনও টর্নেডোর পরিপূর্ন সঙ্গা আবিস্কার করতে না পারলেও আমরা সবাই কমবেশি এর সাথে পরিচিত। এটা  মেঘ,বৃষ্টি, বাতাস আর ধোলার সংমিশ্রনে ক্ষনস্থায়ী ফানেল বা চোঙা। ফানেল ব্যবহৃত হয় উপর থেকে নীচে তরল কোন কিছু ঢালতে আর টর্নেডো ভুপৃষ্ঠ থেকে সবকিছু উপরের দিকে পাঠায়। সাধারনত এর চলার পথ খুব ছোট ও অল্প সময়ের জন্য হলেও প্রাণ ও সম্পদের ক্ষতির ব্যপকতা অকল্পনীয়। অধিকাংশ সময় চলারপথে বিশেষ ধরনের শব্দ করে থাকে। স্বল্প সময়ের জন্য দ্বৈত্তাকারের শক্তি কোন স্থানের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার ফলে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক, লাইটিং, শব্দ, ঘর্ষন, বায়ুমন্ডলীয় চাপ ও তাপসহ অন্যান্য পরিবর্তনের ফলে পরবর্তীতে উক্ত স্থানের প্রাকৃতিক বৈশিষ্টে কিছু পরিবর্তন দেখা যায় যা নিয়ে বিস্তারিত গবেষনা হতে পারে।

বিভিন্ন সময় আঘাত হানা ভয়ন্কর কিছু টর্নেডোর সংক্ষিপ্ত বর্ননা নিম্নরূপঃ

প্রাকৃতিক মাতা যখন আঘাত করেন তখন কোন প্রকার মায়া বা আধুনিক যন্ত্রপাতির ক্ষমতার যে কোন প্রকার পরোয়া করেন না, সম্প্রতি কালের কিছু প্রাকৃতিক দূর্যোগের দিকে লক্ষ্য করলেই অনুমান করা যায়। টর্নেডো তেমনই একটা প্রাকৃতিক দূর্যোগ যা যুক্তরাষ্টকে প্রতি বছর বেশ কিছু টর্নেডোর মোকাবেলা করতে হয়। ঠিক অনুরূপ ভাবে বাংলাদেশকেও বিশ্ব ইতিহাসের  সর্ববৃহত্ প্রাণহানিকর বেশ কিছু টর্নেডো মোকাবেলা করতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রর মতো দেশের আধুনিক সব যন্ত্রপাতি থাকাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কমানো গেলেও বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশে তা সম্ভব হয়না। তাই তো বড় বড় রেকর্ডধারী সব টর্নেডো বা প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘূরে ফিরে বাংলাদেশেই বার বার আঘাত হানে।

বিশ্ব ইতিহাসে টর্নেডো একটি প্রাকৃতিক দূর্যোগ। আর প্রকৃতি মাতার ধ্বংসলিলা থেকে পৃথিবীর কোন দেশই নিজকে আড়াল রাখতে পারেনা। বিশ্বের কোন কোন দেশের কিছু স্থান আছে ভৌগলিকত কারনণই বার বার তাদের এসব খারাব অভিজ্ঞতার সম্মুক্ষিণ হতে হয়। ভৌগলিকতার কারণে যে সব স্থান টর্নেডোর জন্য ‘হডবেড’ হিসাবে চিহ্নত করা হয় বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যার বেশ কয়েকটি সর্বোচ্চ রেকর্ডধারী প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতিকর টর্নেডোর ইতিহাস রয়েছে।

বিশ্ব ইতিহাসের সর্বোচ্চ কয়েকটি টর্নেডোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলোঃ

১৯৭৭ সালের মাদারিপুর-শিবচর টর্নেডোঃ

প্রাণহানীর দিক বিচার করেল পৃধিবির দশমমতম টর্নেডো ছিল ১৯৭৭ সালের ১লা এপ্রিল মাদারিপুরের শিবচর-এর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডো। এতে ৫০০ লোক মারা যায় এবং শতাদিক লোক আহত হয়। গাছপালা, বাড়ীঘর ও অন্যান্য সব কিছু মাটির সাথে সমান করে দিয়ে যায়।

১৯৫১ সালের কমোরোস টর্নেডোঃ

নবমতম স্হানে রয়েছে আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের কমোরোস টর্নেডো যা ১৯৫১ সালে আঘাত হানে। এতে  ৫০০ লোক মারা যায়। টর্নেডোটির উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্র অভ্যন্তরে এবং পার্শ্ববর্তী দ্বীপ কমোরোসের আরসিপেলাগো তে আঘাত করে। দ্বীপটির লোকজন অন্য একটি দেশ দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বেশী কিছু যানা যায়নি।

১৯৬৪ সালের নড়াইল-মাগুড়া টর্নেডোঃ

পৃথিবীর অষ্টম প্রাণহানিকর টর্নেডোটি আঘাত হেনেছিল ১৯৬৪ সালে এবং প্রায় ৫০০ লোকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল বংলাদেশের নড়াইল-মাগুড়া তে। টর্নেডোর থাবায় ৭টি গ্রাম সম্পূর্ন নিশ্চিন্ন হয়ে গিয়েছিল এবং ভবানীপুর গ্রামের ৪০০ লোক হারিয়ে গিয়েছিল যাদের আর কখনো খুজে পাওয়া যকয়নি।  ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য সেদিন সরকার প্রকাশ করেনি, কিন্তু বিশ্ববাসি এটাকে স্বরণকবলের সবচেয়ে ক্ষতিকর টর্নেডো বলে স্বীকার করেছিল।

১৮৫১ সালের সিসিলি টর্নেডোঃ

ঠিক ১৯৫১ সালের কমোরোস টর্নেডোর মত সিসিলির টর্নেডোও জলভাগে উৎপত্তি হয়ে স্থলভাগে আঘাত হানে। এ টর্নেডোতে প্রায় ৫০০ লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং প্রচুর সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়।  ক্ষয়ক্ষতির দিক দিয়ে এ টর্নেডোর ক্রমবস্থান ৭তম। এ সময় প্রযুক্তির সিমাবদ্ধতার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেশি হয় বলে ধারনা করা হয়।

১৯৫১/১৯৫৬ সালের ভ্যালেট্টা টর্নেডোঃ

৬ষ্ঠ অবস্থানে থাকা এই টর্নেডোটি মালাটার সর্বকালের সর্বাধিক প্রাণহানি ও সম্পদহানি ঘটায়। এটি গ্র্যান্ড হরবারে আঘাত হেনে শিপিং আরমাডা পুরাপুরি ধ্বংস করে দেয়। টর্নেডোটি ৬০০ এরও অধিক লোকের প্রাণহানির কারণ হয়। টর্নেডোর উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে বিতর্ক থাকলেও একটি বিষয় অত্যন্ত স্পশ্ট যে, এটা স্থলভাগে পূর্ণগতিতে প্রবাহিত হওয়ার পূর্বে প্রথমেজলভাগে আঘাত হেরেছিল।

১৯৭৩ সালের মানিকগঞ্জ, সিঙ্গাইর এবং নওয়াবগঞ্জ টর্নেডোঃ

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর টর্নেডো প্রবন এলাকা হিসাবে পৃথিবীর বুকে পরিচিতি পেয়েগেছ। ১৯৭৩ সালে মানিকঞ্জ, সিঙ্গাইর এবং নওয়াবগঞ্জ অঞ্চলের অধিকবংশ এলাকর উপর আঘাত হানে দানবিয় ধ্বংসাত্তক টর্নেডো। প্রধানত নয়টি গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও মূল থাবাটি বসায় বালুরচর গ্রামে। পুরা গ্রামটি মাটির সাথে যেন মিশে যায় এবং ৬৮১টি প্রান কেড়ে নেয়।
সারা পৃথিবীতে ৫তম ট্রনেডো হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এটাকে।

১৯২৫ সালের তিন দেশিয় টর্নেডোঃ/সর্বোচ্চ স্থায়িত্তকাল সম্পন্ন  টর্নেডোঃ

যদিও সম্প্রতি বছরগুলোতে অনেক অনেক টর্নেডো আঘাত হেনেছে যুক্ত রাষ্ট্রে তবুও ১৯২৫ সালের ১৮ই মার্চের তিন দেশিয় টর্নেডো এযাবৎ কালের সবচেয়ে ধ্বংসাত্বক ও প্রাণহানিকর ট্রনেডো হিসাবে রেকর্ড হয়ে আছে দেশটিতে। এটি ফুজিটা স্কেল অনুসারে সর্বোচ্চ রেটিং F5 শক্তিতে আঘাত হেনে ছিল যা কেবল দেখতে সিনেমার দৃশ্যের মতোই মনে হয়েছিল। এই ভৌতিক টর্নেডোটির স্থায়িত্ত ৩.৫ ঘন্টা ছিল এবং এটি ৮ টি শাখায় বিভক্ত ছিল। প্রধান টর্নেডোটি মিশৌরি, ইলিনোস ও ইন্ডিয়ানা প্রদেশে আঘাত হানে। এছাড়াও আলাবামা, কানসাস, কেনতুকি ও টেন্নস্সি প্রদেশও ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং সর্বমোট ৭৫০ জন লোকের প্রাণহানি ঘটে যা ১৮৪০ সালের ন্যাটছেচ টর্নেডোর দ্বিগুণ যেখানে ৩১৭ জন লোকের প্রাণ হানি ঘটেছিল। এছাড়াও প্রায় ২,০০০ লোক মারাত্বক ভাবে আহত হয়, ১৫,০০০ এরও বেশি ঘর-বাড়ী ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এক মাইল প্রশস্থের ঘন্টায় ৩০০ মাইল বেগের ভৌতিক টর্নেডোটি ২১৯ মাইল পথ আতিক্রম করে বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘতম টর্নেডো হিসেবে স্বীকৃত হয়।

১৯৯৬ সালের মাদারজানি-মির্জাপুর টর্নেডোঃ

১৯৯৬ সালের ১৩ই মে মাদারজানি থেকে মিরজাপুর পর্যন্ত বয়ে যাওয়া এক দানবীয় টর্নেডো ৭০০ লোকের প্রাণ কেড়ে নেয় মুহূর্তের মধ্যে। এটি টাঙ্গাইল জেলার মাদারজানি, গোপালপুর, কালিহাতি, বাসাইল, শখিপুর ও মির্জাপুর অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায়। বিপুল প্রাণহানি ছাড়াও এ টর্নেডোতে প্রায় ৩০,০০০ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

১৯৬৯ সালের পূর্ব পাকিস্থান টর্নেডোঃ

তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্থান (বর্তমান বাংলাদেশ) এ ১৯৬৯ সালে ঘটে যায় পৃথিবীর ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম টর্নেডো। ১৪ই এপ্রিল সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ  এলাকা ঢাকা তে দ্বৈত্য টর্নেডো আঘাত করে ৬৬০টি প্রাণহানি ঘটিয়েও খান্ত হয়নি একই দিনে কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলায় আঘাত করে আরও ২২৩টি তাজা প্রাণসহ মোট ৮৮৩টি প্রাণহানি ঘটায়।
১৮৪০ সালের ন্যাটছেচ টর্নেডোঃ
এই টর্নেডোটি ১৮৪০ সালের ৭ই মে মিসিসিপির ন্যাটছেচ এ আঘাত হানে এবং ৩১৭ লোক প্রাণ হারায়। এটাই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন টর্নেডো যেখানে মৃতের সংখ্যা আহতের সংখ্যার চেয়ে বেশি। অধিকাংশ ক্ষয়ক্ষতি সংঘটিত হয় মিসিসিপি নদীতে নৌকা ডুবির কারণে। তবে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারনা করা হয় কারণ সেযুগে শ্রমিক শ্রেনির লোকের মৃত্যুর হিসেব করা হয়নি।

১৮৯৬ সালের লোয়িস টর্নেডোঃ

১৮৯৬ সালের ২৭শে মে মিসিসিপি নদীর অববাহিকায় প্রধাণ শহর সেন্ট লোয়িস ও তার পার্শ্ববর্তী পূর্ব সেন্ট লোয়িস এ আঘাত করে এবং ২২৫ জন লোক মারা যায়। ধারনা করা হয় মৃতের সংখ্যা আরও বেশি, কারণ অনেক লোক নৌকায় ছিল টর্নেডো যাদেরকে নদীতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এটাই তালিকার একমাত্র F4 শক্তির টর্নেডো যাকে সর্বোচ্চ F5 শক্তি মানের বিকল্প ধরা হয়।

১৯৩৬ সালের টিউপেলো টর্নেডোঃ

এই টর্নেডোটি মিসিসিপির টিউপেলো তে ১৯৩৬ সালের ৫ই এপ্রিল আঘাত করে এবং ২৩৩ জন লোক মারা যায় ও ৪৮টি শহরতলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পার্শ্ববর্তী কালোদের এলাকা প্রচুর ধ্বংস প্রাপ্ত হলেও আফ্রিকান-আমেরিকানদের হিসাবের আওতায় না আনায় মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারনা করা হয়। বিশেষ করে এ বছরটি ছিল মারাত্বক ঝড়ের বছর, কারণ ঠিক পরের রাতেই গেইনিসভিলি শহরে আরও একটি টর্নেডো আঘাত করে ও ২০৩ জন লোক মারা যায়। এখানেও মৃতের সংখ্যা হিসাবের চেয়ে বেশি বলে ধারনা করা হয়, কারণ অনেক বিল্ডিং ধ্বসে পড়ে ও আগুন ধরে যায়।

সর্বোচ্চ নিম্ন চাপের টর্নডোঃ

ম্যানচেষ্টার, দক্ষিণ ড্যাকোডা: ২০০৩ সালের ২৪শে জুনের টর্নেডোটির প্রেসার ড্রপ রেকর্ড করা হচ্ছিল। সর্বশেষ প্রেসার ১০০ মিলি বার ( ২.৯৫ মারকারি)। হঠাৎ করে এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে প্রেসার ড্রপ হয়েগেল ৮৫০ মিলি বার (২৫.১০ মারকারি)। এটাই পৃথিবী পৃষ্ঠের রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন প্রেসার। মুহূর্তের মধ্যেই শহরটি ভূতুরে শহরে পরিনত হয়েগেল এবং প্রচুর ধ্বংস সাধীত হল। টর্নেডোটির শক্তি রেকর্ড করা হয়েছিল F4 মানের।

সবচেয়ে দূরে কোন মানুষ নিক্ষেপকারি টর্নেডোঃ

মিশৌরির ২০০৬ সালের ৬ই মার্চের টর্নেডো ১৯ বছর বয়সি মি. ম্যাট সুটার কে F4 শক্তি মানের টর্নেডো তার ঘর থেকে উড়িয়ে নিয়ে যায় এবং ১৩০৭ ফুট ( ৩৯৮ মিটার) যা প্রায় ৪ টি ফুটবল মাঠের সমান দূরে নিয়ে ফেলে। অবশ্য সে পরবর্তীতে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করতে পেড়েছিল। অন্য একটি টর্নেডো ১৯৯৯ সালে  অকলোহমাতে কোন এক শিশুকে ১০০ ফুট উড়িয়ে নেওয়ার পরেও বেচে যায়।

সব চেয়ে বেশি প্রশস্থের টর্নেডোঃ

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যশনাল ওয়েদার সার্ভিস এর নরম্যান, অকলাহমা অফিস ২০১৩ সালের ৪ঠা জুন ঘোষণা করেন যে, ২০১৩ সালের ৩১শে মে এর এল-রেনো, অকলাহমা টর্নেডোটি ছিল এযাবৎ কালের সবচেয়ে প্রশস্ততম। ২.৬ মাইল (৪.২ কি.মি) প্রশস্তের টর্নেডোর আঘাতে ২০ জন লোক মারা যায়। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস অফিস নিশ্চিত করেন যে, টর্নেডোটি মূলত EF-3 শক্তি মানের হলেও পরবর্তীতে এটাকে EF-5 শক্তি মানে পুনঃ শ্রেণী বিন্নাশ করা হয়। বাতাসের গতি ছিল ঘন্টায় ২৯৬ মাইল যা সর্বোচ্চ গতির নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। স্থলভাগে এর অতিক্রান্ত পথ ছিল ১৬.২ মাইল।

সবচেয়ে ব্যয়বহুল টর্নেডোঃ

২০১১ সালের ২২শে মে মিশৌরির জপলিনে আঘাতকৃত জপলিন টর্নেডোকে সম্প্রতি কালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টর্নেডো হিসেবে অভিহিত করা হয়। EF-5 শক্তিমানের টর্নেডোটি শহরের পূর্ব দিক থেকে আঘাতহেনে পূর্ব দিকে পল্লী অঞ্চলের দিকে চলে যায়। পরিশোতব্য ইন্সুরেন্স এর হিসেব অনুযায়ি এটা ২.২ বিলিয়ন ইউ এস ডলার যা মিশৌরির ইতিহাসে নতুন রের্কড, পূর্বর্বতী রের্কড ছিল ২০০১ সালের ১০ই এপ্রিলের ঝড়ের জন্য ২ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। প্রাক্কলিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ছিল ২.৮ বিলিয়ন ইউ এস ডলার।

সর্বোচ্চ গতির বাতাস সম্পন্ন টর্নেডোঃ

১৯৯৯ সালের ৩রা মে প্রতি ঘন্টায় ৩০১ ±২০ মাইল (৪৮৪±৩২ কি.মি) বেগের সর্বোচ্চ গতির বাতাস সম্পন্ন অকলাহমা সিটি টর্নেডোটি আঘাত হানে। ফুজিটা স্কেল অনুযায়ী এর সর্বোচ্চ শক্তিমানকে F5 দ্বাড়া প্রকাশ করা হতো,কিন্তু এই টর্নেডোর  লক্ষ্যনিয় বাতাসের গতি এতো বেশি ছিল যে তা পনিমাপেন জন্য এই স্কেলটিকে পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ মান F6 শ্রণী পর্যন্ত উন্নীত করা হ্য়।
সবচেয়ে বেশি সম্প্রসারিত টর্নেডোঃ
২০১১ সালের ২৫ থেকে ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত বয়ে যাওয়া টর্নেডো যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সম্প্রসারিত টর্নেডো। ২০১১ সুপার আউটব্রেকনামে জনশ্রূত এই টর্নেডোটি অতিমাত্রায় বড় ও ধ্বংসাত্বক ছিল। এই আউটব্রেকে মূলত আক্রান্ত হয়-সাউদর্ন, মিডওয়েষ্টার্ন এবং নর্থওয়েষ্টার্ন। আউটব্রেকের সময় বিশেষ করে আলাবামা তে ৩২৯ টির মধ্যে ২০৮টি  ক্ষতিকর যার ৪টি ছিল EF5 শক্তিমানের টর্নেডো। এতে ৩৪৬ জন লোক মারা যায় এবং ১৯২৫ সালের তিন দেশিয়টর্নেডোর পর থেকে ২০১১ সালের ২৭শে এপ্রিল ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে মারাত্ত্বক দিন।

১৯৮৯ সালের দৌলতপুর-সাটুরিয়া টর্নেডোঃ/পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রাণহানিকর টর্নেডোঃ



পৃথিবীর মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও সর্বোচ্চ প্রাণহানিকর টর্নেডোটি  মানবীয় অনুভূতিতে সারাজাগিয়ে  আঘাত করেছিল মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়াতে ১৯৮৯ সালের ২৬শে এপ্রিল সূর্যাস্তের ঠিক আগমুহূর্তে। মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ই ৫ মাইল লম্বা ও ১ মাইল প্রস্থের  এই সর্ববৃহৎ দানবটি যা কিছু করার করে ফেলে । তাতেই মুহূর্তের মধ্যে ১,৩০০ লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং ১২, ০০০ এরও বেশি লোক মারাত্বক আঘাত প্রাপ্ত হয় যার বৃহত অংশ বিভিন্ন অঙ্গহানিসহ পঙ্গুত্তবরং করে। এলাকাটি সম্পূর্ন ধ্বংস হয়ে যায় যার অধিকংশ বাড়ি-ঘর মাটির সাথে মিশে যায় এবং এতে প্রায় ৮০,০০০ লোক ঘরহীন হয়ে পড়ে।

1 comment:

WAZIPOINT:
Thank you very much to visit and valuable comments on this blog post. Keep in touch for next and new article. Share your friends and well-wisher, share your idea to worldwide.