সোনালী বালির মরুভুমি |
Sponsored:
মরুভূমির তাপমাত্রা রাতের বেলা কমে যায় এবং দিনের বেলা সূর্যের তাপ অতিমাত্রায় বেড়ে যায়। বিশ্বের সব চেয়ে বড় মরুভূমি সাহারা। এর আয়তন প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন বর্গ কিলো মিটার এবং সর্বোচ্চ রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা ৫৮ ডিগ্রি সে: গ্রে:। সাহারাসহ অত্র অঞ্চলের জীবনযাত্রা অতিমাত্রায় কষ্ট সাধ্য। কিন্তু জীব এখানেও জীবন ধারণ করছে। মানুষ এখানে প্রকৃতিকে শুধু জয়ই করেনি, প্রকৃতির সাথে চ্যালেঞ্জ করে তৈরি করেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ ইমারত- দুবাই এর বুরুজ খলিফা। মরুভূমিতে বাস করেই মিশরের ফেরাউন নিজেকে সৃষ্টিকর্তা বলে দাবি করেছিল। এখানেই পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ মানবের জন্ম।
অতিরিক্ত পানি জমা রাখার জন্যই উদ্ভিদের এমন মূল। |
বিশ্ব মানচিত্র লক্ষ্য করলে দেখা যায় ট্রপিক অঞ্চলে বছরের অধিকাংশ সময় সূর্য সরাসরি তাপ দেয়াতে এ অঞ্চলের অধিকাংশ স্থান মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে।কিনত হিমালয়ের হিমবাহ ও অধিকাংশ নদী ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ, মায়ানমার অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে এ অঞ্চল মরুভূমি হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।দিনের বেলা অতি-তাপের ফলে বাষ্প সৃষ্টি হয়ে উপরে উঠে যায় এবং রাতের বেলা তাপ কমে যাওয়ার ফলে বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে নীচে নেমে আসে। ফলে মরুভূমি দিনে গরম এবং রাতে ঠাণ্ডা।
নরম শরীর সূর্য্যের তাপ থেকে রক্ষার জন্যই এমন দেহাবরণ। |
অন্যান্য অঞ্চলের মত এখানেও বিভিন্ন জীব বাস করে, কিন্তু পরিবেশের সাথে খাপ-খাওয়ানোর জন্য জীবন যাত্রা ও শারিরীক গঠনে রয়েছে বিভিন্ন বিচিত্রতা।মরু অঞ্চলের জীবজন্তুর মধ্যে সাধারণত দেখা যায় হায়েনা, ফ্যানিক ফক্স, বিভিন্ন ধরনের ইঁদুর, টিকটিকি,কচ্ছপ,সাপ, বিছা, বিভিন্ন ধরনের পাখি প্রভৃতি। দিনের বেলা অধিক তাপ থেকে বাঁচার জন্য সূর্যের আড়ালে অর্থাৎ গর্তের ভিতরে থাকে এবং রাতের বেলা বের হয় শিকার ধরার জন্য।
সঙ্কোচিত দেহের মরু উদ্ভিদ |
মরু অঞ্চলের গাছপালা ও জীবজন্তু প্রতিকুল পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য নিজ থেকেই অসাধারণ সব উপায় বের করে নেয়, যেমন- ক্যাকটাস বা শিলা উদ্ভিদ তাদের মাংসল টিসুর মধ্যে প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য অতিরিক্ত পানি জমা করে রাখতে পারে।এদের এমন অগভীর মূল ও শিকড় থাকে যা অতি অল্প সময়ে বৃষ্টির পানি মাটি থেকে সংগ্রহ করতে পারে। আবার অনেক ক্যাকটাস জাতিয় উদ্ভিদ যাদের পাতার বিকল্প শুধু কাণ্ড আছে, কোন পাতা বা ডাল-পালা নাই।এদের আকৃতি শুধু লম্বা বা উপরের দিকে হয় এবং গায়ের রং হয় গাঢ় সবুজ। এতে দিনের প্রথম ও শেষ ভাগে যখন সূর্যের তাপ কম থাকে তখন পাতার পরিবর্তে গায়ের চামড়ায় প্রয়োজনীয় খাদ্য তৈরি করে এবং দিনের মধ্যভাগে যখন তাপমাত্রা অধিক তখন লম্বা, আয়তনে ছোট, পাতা বা অতি-সংবেদনশীল অংশ কম থাকায় অর্থাৎ আকারে সংকোচিত থাকায় অতি-তাপের হাত থেকে সহজেই রক্ষা পায়। আবার কোন কোন উদ্ভিদের আকৃতি এমন যে বৃষ্টি বা রাতের কুয়াশার পানি যেন সহজেই গাছের গোঁড়ায় পৌছায় তেমন ব্যবস্থা রয়েছে।
পানি গড়িয়ে গোড়য় যাওয়ার জন্য ও পাতার কাজ কান্ডতেই সেরে নেওয়ার জন্য এমন আকৃতি। |
যেসব উদ্ভিদের পাতা আছে সেগুলোও এফিমেরাল জীবন চক্র পদ্ধতিতে বছরের পর বছর বেঁচে আছে।অর্থাৎ কম্পিউটারের বড় ফাইলকে ZIP করে ছোট আবার প্রয়োজনীয় সময় unZIP করে বড় করার মত- যখন তাপমাত্রা অধিক ও বৃষ্টির পরিমাণ কম তখন সমস্ত পাতা ও ডাল-পালার নরম অংশ ঝড়ে যায় ফলে আকারে ছোট হয়ে শুধু কাণ্ড বা শাখা-কাণ্ড সঞ্চিত খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে, আবার বৃষ্টির সময় অতি তাড়াতাড়ি নতুন পাতা গজায় ও পরিপূর্ণ জীবনে ফিরে আসে।
লেজই ছাতার কাজ করছে |
গরম বালু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পা উচু করে বিশ্রাম নিচ্ছে |
কোন কোন প্রাণীর গায়ের বিশেষ আকৃতি প্রতিকুল পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য উপযোগী। কোন কোন প্রাণী আবার বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে দুষ্কর পথ চলে।
মরুভুমির ব্যাঙ |
Sponsored:
মরুভূমির ব্যাঙ বছরের অধিকাংশ সময়ই মাটি বা বালির নীচে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে। যখন বৃষ্টি হয় তখন বের হয়ে আসে এবং যে স্বল্প সময় পায় অর্থাৎ প্রায় এক সপ্তাহ বৃষ্টির পানি জমা থাকে সেই সময়ের মধ্যেই ডিম দেয়, বাচ্চা ফুটে, বাচ্চা বড় হয়ে পুর্নাঙ্গ ব্যাঙে পরিণত হয়ে আবার পানি শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বেই মাটির নীচে লোকায়ে যায়।এভাবেই নিজেদের বাঁচিয়ে রাখে বছরের পর বছর।
মরুভুমির বন্য ফুল |
nice!!
ReplyDeleteThanks.
Deleteখুবই মজার পোষ্ট৷ আরও বেশি বেশি মজার পোষ্চ চাই৷
ReplyDeletenice and beautiful post.
ReplyDeleteসারা গায়ে চুলকানি নির্দিষ্ট একটি ঔষধের নাম নেই। চুলকানির জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়, যেমন এন্টিহিস্টামিন, কাফ সাপ্রেসর, নাসাল স্প্রে, ব্রোঙ্কোডাইলেটর ইত্যাদি। কিছু অধিক সারাগায়ে বা সারাতোর নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে এবং সেই জন্য নির্দিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ উচিত। চুলকানি
ReplyDeleteসারা গায়ে চুলকানি নির্দিষ্ট একটি ঔষধের নাম নেই। চুলকানির জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়, যেমন এন্টিহিস্টামিন, কাফ সাপ্রেসর, নাসাল স্প্রে, ব্রোঙ্কোডাইলেটর ইত্যাদি। কিছু অধিক সারাগায়ে বা সারাতোর নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে এবং সেই জন্য নির্দিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ উচিত। চুলকানি
ReplyDelete