গার্ডিনার ব্যাঙ পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম।
সবচেয়ে দীর্ঘতমটি হল ১১ মি.মি.। ক্ষুদ্রতমটি পরিমাপ করা হয়েছে মাত্র ৩ মি.মি. দৈর্ঘ্য। এরা বাদামী রং এর হয় এবং মুখ থেকে মাথা পর্যন্ত গাঢ় ডোরা কাটা দাগ থাকে।ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপ সিছিলি, প্রায় ৪৭ থেকে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা এই দ্বীপের ক্ষুদ্র প্রাণী গার্ডিনার ব্যাঙ । সম্প্রতি ইউএস জার্নাল ন্যাশনাল একাডেমী অব সাইন্স জানিয়েছে বিঞ্গানীরা এই দ্বীপের ব্যাঙ নিয়ে গবেষণা করে এক রহস্যের সমাধান করেছেন। আর তা হল এই ক্ষুদ্র ব্যাঙ কান ছাড়াই শুনতে পায়। এরা মুখগহ্বর ও টিসুর সাহায্যে শব্দ তরঙ্গকে এম্প্লিফাই করে অন্তঃকর্ণে পাঠিয়ে দেয় এবং সেখান থেকে ব্রেইনে প্রবেশ করে।
মানুষের মত ব্যাঙের বাহিরের কোন কান নাই। তবে মাথায় স্থাপিত কানের ড্রামসহ মধ্য-কর্ণ থাকে। আগত শব্দ তরঙ্গ এই ড্রামকে ভাইব্রেট করে ফলে মধ্য-কর্ণে একধরনের সিগনাল তৈরি হয় আর শ্রবণ-টিসু এই সিগনালকে বৈদ্যুতিক সিগনাল আকারে ব্রেইনে প্রেরণ করে।
গার্ডিনার ব্যাঙ একে অন্যের সাথে যোগাযোগের জন্য শব্দ ব্যবহার করে কিনা জানার জন্য বিঞ্গাণীরা এদের আবাস স্থলের আশেপাশে স্ত্রী ব্যাঙের শব্দ রেকর্ড করে লাউড স্পীকারের সাহায্যে বাজিয়ে রাখে।
বিশেষঞ্গরা এরপর বধির ব্যাঙ কিভাবে শব্দ শুনতে পায় তা নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়। অবশ্য ধারনাকৃত প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল- ফুসফুস, হাড়, পেশি ও অন্তঃকর্ণ, প্রভৃতি।
বিঞ্গাণিরা এই ক্ষুদ্র প্রাণির নরম টিসু ও হাড়ের মাইক্রোমিটার রেজুলেশনের এক্স-রে ছবি তুলে জানার চেষ্টা করেন শরীরের কোন অংশ শব্দ তরঙ্গ প্রবাহের সাথে সংশ্লিষ্ট। এতে শব্দ অন্তঃকর্ণে পৌঁছানোর জন্য পালমোনারি সিস্টেম বা পেশীর কোন অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়নি। তবে দেখা যায় যে শব্দ গৃহীত হয়েছে মাথার সাহায্যে এবং এক্ষেত্রে মুখ শব্দ তরঙ্গের অনুনাদ বা এমপ্লিফায়ার হিসেবে কাজ করেছে।
বিভিন্ন ধরনের সিন্ক্রোট্রন এক্স-রে ছবির সাহায্যে দেখা যায় যে, শব্দ তরঙ্গ মুখগহ্বর থেকে অন্তঃকর্ণে নিখুঁতভাবে পৌঁছানোর জন্য মুখ ও অন্তঃকর্ণের মধ্যবর্তী কম পুরুত্বের টিসু এবং স্বল্প সংখ্যক টিসুর স্তর গুরুত্বপূর্ণ প্রধান ভূমিকা পালন করে।
অবশেষে বিঞ্গাণীরা রহস্য উদ্ঘাটন করেন যে মুখগহবর ও হাড় পরিবহনের সমন্বয়ে গার্ডিনার ব্যাঙ মধ্য-কর্ণ ছাড়া কার্যকরী শব্দ উপলব্ধির কাজ করে থাকে বলে মনে করেন।
No comments:
Post a Comment
WAZIPOINT:
Thank you very much to visit and valuable comments on this blog post. Keep in touch for next and new article. Share your friends and well-wisher, share your idea to worldwide.