যাদের পোষাপ্রানি আছে তারা নিজেদেরকে অন্যদের তুলনায় অনেক সুখী, অনেক স্বাধীন ও অনেক নিরাপদ মনে করে।
তবে গুরুত্বের বিষয় হল যেটা আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল
এমন পোষাপ্রাণি নির্বাচন করতে হবে। আপনার শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্যের সাথে মিল
রেখে আপনার পোষাপ্রাণি নির্বাচন করাই
শ্রেয়-
ঘরের বাহিরের ক্ষুদ্র কর্ম: আপনি যদি আপনার অধিকাংশ সময় ঘরের ভিতরে কাটান তাহলে এমন
প্রাণি নির্বাচন করুন যা আপনার পরিবেশর সাথে মানিয়ে নিতে পারবে। এক্ষেত্রে একটি
বিড়াল, মাছ বা পাখি আপনার সাথে খেলা করে আপনাকে আনন্দ দিতে পারে।
বেশি পরিশ্রমীদের জন্য: আপনি যদি অধিক পরিশ্রমী হয়ে থাকেন এবং আপনার কার্যক্রম অধিকাংশই ঘরের বাহিরে অর্থাৎ নিয়মিত হাটা, দৌড়ানো হয়, তাহলে কুকুর
আপনার জন্য উত্তম পোষাপ্রাণি হতে পারে।
ছোট শিশু ও বয়স্কদের জন্য: পরিবারে যদি ছোট শিশু বা বয়স্ক লোক থাকে তাহলে পোষাপ্রাণি
নির্বাচনের সময় এর আকার ও শক্তি সামর্থ্যের দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে। পাপ্পি ও
কিট্টেন জাতিরা সাধারণত পরিশ্রমী হয়, কিন্তু ছোট হালকা ও ডেলিকেট জাতিয় পোষাপ্রাণিগুলো খুব সাবধানতার সাথে পরিচালনা
করতে হয়। বড় রেমবাংকসিয়াস কুকুরগুলো অনেক সময় শিশু বা বড়দেরও অসাবধানতা বশত
ক্ষত বা আঁচর কেটে দিতে পারে।
বাড়ির পরিবেশ: আপনি যদি আপনার
বাড়ির পরিবেশ পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন, পশুর লোমমুক্ত, কাদাযুক্ত পায়ের ছাপমুক্ত রাখতে ভালবাসেন তাহলে খোলা পরিবেশ পছন্দকারী কুকুর
বা লম্বা চুলযুক্ত বিড়াল নির্বাচন করা আপনার জন্য উপযুক্ত হবে না। বরং আপনি মাছ বা
কচ্ছপ, পাখি, হ্যামস্টার বা রেপটাইল জাতিয় যারা তাদের নিজেদের ঘরের মধ্যে
আ-বধ্য থাকতে পছন্দ করে এমন প্রাণি নির্বাচন করতে
পারেন।
ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তন: কিছু প্রাণি আপনার আশেপাশের চিত্র পরিবর্তন করে ফেলবে, যেমন- কিছু কুকুর আপনার আঙ্গিনায় গর্ত করবে, কুকুরের প্রস্রাব হলুদ
রঙের ছাপ তৈরি করবে ইত্যাদি।
সময় ব্যয়ের নিশ্চয়তা: সর্বশেষ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনাকে মনে রাখতে
হবে ও নিশ্চয়তা দিতে হবে যে-সম্ভবত ১০, ১৫ বা ২০ বছর
আপনার পোষা কুকুর বা বিড়াল কখনও পাখির জন্য ৩০ বছর বা তারও বেশি সময় আপনি আপনার
পোষাপ্রাণির পাশে থাকবেন।
বিকল্প উপায়ে পোষাপ্রণির মালিক হওয়া:
সার্বক্ষণিক কোন পোষাপ্রাণির মালিক হওয়া হয়তো আপনার পক্ষে সম্ভব না
অথবা কোন পোষাপ্রাণি গ্রহণের পূর্বে পরীক্ষামুলক ভাবে পোষতে চান সেক্ষেত্রে কোন
দেশে কিছু দোকান-মালিক ভাড়া-ভিত্তিতে দিয়ে থাকে। কুকুর বা বিড়াল ক্রয়ের পূর্বে
বন্ধুত্ব করার জন্যও ভাড়া-ভিত্তিতে পাওয়া যায় অথবা ভ্রমণের সময়ও আদর পাওয়ার জন্য
কোন কোন হোটেল ভাড়া-ভিত্তিতে এসব প্রাণি পেতে সাহায্য করেন।
পশুসহায়ক থেরাপি ও কার্যক্রম:
বিভিন্ন প্রতিবন্ধী যেমন-স্কিজোফ্রেনিয়া, ডিপরেশন, এ্যনজাইটি ডিজঅর্ডার, ইটিং
ডিজঅর্ডার, এ্যটেংশন-ডিফেক্ট হাইপার এ্যকটিভিটি
ডিজঅর্ডার, অটিজম ও হোস্ট অব ডেভলপমেনটাল
ডিজাবলিটিস এর চিকিৎসার জন্য পশু-সহায়ক থেরাপির কাজে স্বেচ্ছা-সেবক পশু যেমন-ঘোড়া, কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, খরগোশ, পাখি এবং মাছ ইত্যাদি ব্যাবহার করা হয়। এসব পশুর সাহায্যে তাদের ভীতি
কমিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো হয়।
পোষাপ্রাণিও পশু-সহায়ক কার্যক্রমে ব্যবহার হতে পারে। পরিদর্শনের জন্য
আহ্বানকরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান
যেমন-শিশু হাসপাতাল, নার্সিং
হোম, সহায়ক আবাসন, হসপিস প্রোগ্রাম, শেল্টার ও স্কুল তারা প্রশিক্ষিত পশুর
সাহায্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সময় প্রশিক্ষিত পশুগোলো শিশুদের সাথে খেলা করে আনন্দ দেয় ও মন থেকে
সমস্যার কথা ভুলিয়ে দেয়।
No comments:
Post a Comment
WAZIPOINT:
Thank you very much to visit and valuable comments on this blog post. Keep in touch for next and new article. Share your friends and well-wisher, share your idea to worldwide.