WAZIPOINT Engineering Science & Technology: বৈদ্যুতিক বাতি কিনতেও আধুনিক শিক্ষা প্রয়োজন!

Wednesday, October 30, 2013

বৈদ্যুতিক বাতি কিনতেও আধুনিক শিক্ষা প্রয়োজন!

বৈদ্যুতিক বাতি কিনতেও কি আধুনিক শিক্ষা প্রয়োজন?



New Way to Shop for Light Bulb
চিত্র: বাতি কেনার নিক্তি
আপনার রান্নাঘরের, বাথরুমের বা ড্রইংরুমের বৈদ্যুতিক বাতি ফিউজ হয়ে গেছ। কি করবেন? পুরাতনটা খুলে দেখবেন কত ওয়াট। আর দোকানে গিয়ে সেই মানের বা কাছাকাছি মানের আর একটা কিনে এনে লাগাবেন। কিন্তু আপনি সচেতন আপনার এনার্জি সেভিং এর প্রতি দ্বায়িত্ব রয়েছ। তাই তো জানা প্রয়োজন আপনার পুরাতন ৪০ বা ৬০ ওয়াটের ইনক্যান্ডিসেন্ট বাল্বের পরিবর্তে এনার্জি সেভিং এর কত ওয়াটের বাল্ব কিনতে হবে যাতে আপনি পূর্বের বাল্বের সমান বা বেশি আলো পান। প্রকৃত এনার্জি বা টাকা সেভিং এর জন্য সঠিক স্থানে সঠিক বাল্ব লাগাতে হবে। অযথা বেশি আলোর বা প্রয়োজনীয় স্থানে কম আলোর বাল্ব লাগালে টাকা ও সেবা কোনটাই সেভ হবে না। সেভিং চিন্তা মাথায় রেখে, লাইট-বাল্বের জেনারেশন পরিবর্তনের সময়, আপনাকে আলোর পরিমাণ ঠিক রাখার জন্য প্রথমেই আলো পরিমাপের একক সম্পর্কে সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।

আলো পরিমাপের একক হল লুমেন যা প্রতিটি বাল্বের প্যাকেটে লেখা থাকে। কিন্তু আমরা সাধারণত ওয়াট  দেখে বাল্ব কিনতে বেশি অভ্যস্ত। এখন ধরুন আপনার ৬০ ওয়াটের ইনক্যান্ডিসেন্ট বাল্বের পরিবর্তে এনার্জি সেভিং বাল্ব লাগাবেন, কিন্তু কত ওয়াট? এর জন্য প্রথমেই দেখতে হবে ৬০ ওয়াটের ইনক্যান্ডিসেন্ট বাল্বের লুমেন কত। যদি ইহা ৮০০ লুমেন হয়, তাহলে আপনি সহজেই ৮০০ লুমেন বা এর কাছাকাছি মানের জন্য এনার্জি সেভিং বাল্ব নির্বাচন করতে পারবেন।

টেকনোলজি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে- যেমন VCR থেকে DVD, এনালগ থেকে ডিজিটাল টিভি, তেমনি লাইট-বাল্বও। অনেক বছর ধরেই গবেষকরা এমন এক নতুন বাল্ব তৈরির কথা ভাবছেন যা একই আলো দিবে, কিন্তু কম শক্তি খরচ করবে। বাজারে এখন অনেক ধরনেরই এনার্জি সেভিং বাল্ব পাওয়া যাচ্ছে যেমন- CFL (কম্প্যাক্ট ফ্লোরেসেন্ট ল্যাম্প), LED (লাইট ইমিটিং ডায়োড) ও হ্যালোজেন ইনক্যান্ডিসেন্ট ইত্যাদি। এগুলো বিভিন্ন রং, ডিজাইন ও সাইজের হয়ে থাকে যা কম বিদ্যুৎ খরচ করে বেশি আলো দিয়ে থাকে এবং অধিক টেকসই হয়।


ইন্ডোর লাইটিং:

অনেক ধরনের বাল্ব আছে, আপনি যে কোনটি পছন্দ করতে পারেন- হ্যালোজেন ইনক্যান্ডিসেন্ট, CFL (কম্প্যাক্ট ফ্লোরেসেন্ট ল্যাম্প) ও LED (লাইট ইমিটিং ডায়োড) ইত্যাদি। যদিও এগুলোর প্রাথমিক খরচ বেশি কিন্তু লাইফ টাইম ও এনার্জি সেভিং এর বিষয় চিন্তা করলে লাভজনক।

এনার্জি সেভিং ইনক্যান্ডিসেন্ট (হ্যালোজেন):

এনার্জি সেভিং  বা হ্যালোজেন ইনক্যান্ডিসেন্ট বাল্ব সাধারণ বাল্বের তুলনায় ২৫% বেশি কার্যকরী এবং তিনগুণ বেশি টেকসই। এগুলোও বিভিন্ন রং, ডিজাইন, সাইজের ও ডিমার আকারের পাওয়া যায়।

CFL বাল্ব :

 এনার্জি ষ্টার কোয়ালিফাইং CFL বাল্ব সাধারণ ইনক্যান্ডিসেন্ট বাল্বের তুলনায়  প্রায় ৭৫% বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে এবং ১০গুন বেশি টেকসই হয়ে থাকে।

LED বাল্ব:

 এটা একটা সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বাল্ব যা প্রচলিত বাল্বের মতোই আলো দিয়ে থাকে। ইহা CFL এর চেয়েও কম বিদ্যুৎ খরচ করে এবং সাধারণ ইনক্যান্ডিসেন্ট বাল্বের তুলনায়  প্রায় ২৫গুণ বেশি টেকসই হয়ে থাকে। দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধ পাচ্ছে।

আউটডোর লাইটিং:

 অনেকেই সিকিউরিটি ও ডেকোরেশনের জন্য আউটডোর লাইট ব্যবহার করে থাকেন.  অনেক দিন টিকে থাকার জন্য ও বাহিরের আবহাওয়ার উপযোগী হওয়ায় LED বাল্ব বেশ কার্যকরী হতে পারে। অধিক সাশ্রয়ীর জন্য সৌর শক্তি চালিত আউটডোর লাইটিং সিস্টেম ব্যবহার করাই উত্তম।

বিভিন্ন  প্রকারের এনার্জি সেভিং বাল্ব
চিত্র: বিভিন্ন  প্রকারের এনার্জি সেভিং বাল্ব

No comments:

Post a Comment

WAZIPOINT:
Thank you very much to visit and valuable comments on this blog post. Keep in touch for next and new article. Share your friends and well-wisher, share your idea to worldwide.

You may like the following pages