ভুমিকম্প কি এবং কেন হয়?
আদি কাল থেকে ভুমিকম্প সম্পর্কে অনেক কল্প কাহিনী প্রচলিত আছে দেশে দেশে বিভিন্ন সমাজে। তার মধ্য থেকে কয়েকটা উল্ল্যখ করা যেতে পারে মুটামুটি একটা ধারনা পাওয়ার জন্য।
চারটা মস্ত বড় হাতী এই পৃথিবীকে মাথায় নিয়ে
আছে। আর এই হাতী চারটা দাড়িয়ে আছে একটা কচ্ছপের উপর। আর কচ্ছপটা আছে একটা গোখরা
সাপের মাথায়। বুঝতেই পারছেন যে কেউ একটু নড়াচড়া দিলেই তখন পৃথিবীটা কেপে উঠে, আর
এটাই ভুমিকম্প।
বিরাট একটা দৈত্ব্য এই পৃথিবীকে মাথায় নিয়ে
আছে। পৃথিবীর সমস্ত গাছপালা হলো দৈত্বে্র চুল, আর মানুষ ও প্রাণীকূল হলো তার উকুন।
এটা সাধারনত পুর্বদিকে মুখ করে আছে। কখনো ঘাড় ঘুরিয়ে পশ্চিম দিকে তাকিয়ে আবার
পুর্ব দিকে হয়, তখন ঝাকুনি অনুভুত হয়, আর এটাই ভুমিকম্প।
সাত নাগিনী এই পৃথিবীর সুরক্ষার জন্য
পালাক্রমে দ্বায়িত্ব পালন করছে। একজন থেকে আর একজন দ্বায়িত্ব বুঝে নেয়ার সময়
কিছুটা ঝাঁকুনি অনুভুত হয়, আর এটাই ভুমিকম্প।
পৃথিবী মানুষের মতই একটা জীবন্ত প্রাণী। এরও
মানুষের মতো অসুখ-বিসুখ হয়। তাই তো যখন পৃথিবীর জ্বর আসে আর এই জ্বরের কাপুনির ফলে
ভুপৃষ্ঠ কেপে উঠে, আর এটাই ভুমিকম্প।
এযাবত যত মানুষ মরে মাটির নীচে চলে গেছে তারা কিছু দিন পরপর একত্রিত হয়ে নিজেদের মধ্যে হিসাব মিলানোর চেষ্টা করে যে এখনও কেউ মাটির উপরে আছে কিনা। তাই পৃথিবীকে নড়াচড়া দেয়। আর কম্পনের সময় যখন মানুষ বাচাও বাচাও বলে চিৎকার করে তখন মাটির নীচের মানুষেরা বুঝতে পারে এখনও সব মানুষ মরা শেষ হয়নাই। তাই তো ভুমিকম্পন বন্ধ হয়ে যায়।
গভীর সমুদ্র অনেক বড় একটা মাগুড় মাছ আছে যার
পিঠে পুরা পৃথিবীটা বসানো। মাগুরটা যাতে নড়াচড়া না করে এর জন্য মস্ত বড় একটা পাথড়
দিয়ে মাগুরটার মাথায় চাপা দেয়া আছে। মাঝে মধ্যে পাথড়টা একটু সরে যায়, আর তখনই
পৃথিবীটা নড়ে উঠে, এটাই ভুমিকম্প।
পৃথিবীর মানুষ যখন অধিক পরিমান খারাব কাজে
লিপ্ত হয়, তখন ঈশ্বর একজন রাগী দেবতা পাঠিয়ে দেয়। সে পৃথিবীর চার পাশের বায়ুমন্ডলে
আঘা করে। ফলে পৃথিবীতে কম্পনের সৃষ্টি হয়, এটই ভৃমিকম্প।
দেবতা লুকি তার ভাই বালদুর কে হত্যা করার শাস্তি
স্বরূপ তাকে বদ্ধ কুঠরিতে মস্ত বড় পাথড়ের সাথে বেধে রাখা হয়েছে। আর তার মুখের উপর
ফোটা ফোটা সাপের বিষ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু লুকি’র বোন একটা পা্ত্র ধরে
রেখেছে যাতে ভই’র মুখে সাপের বিষ না পড়ে। কিন্তু পাত্রটি ভরে গেলে সেটা পরিবর্তনের
সময় দু-এক ফোটা বিষ মুখের উপর পড়ে যায়, আর এতে লুকি কুড়ামুড়া করায় পৃথিবী কেপে
উঠে, আর এটাই ভুমিকম্প।
পৃথিবীটা একটা গর্ভবতী মা। আর তার গর্ভে
রয়েছে দেবতা রো। ছোট দেবতা যখন পেটের ভীতরে নড়াচড়া করে তখন ভুমিকম্প হয়।
একটা বড় ভৌতিক মাছ পিঠে মস্ত বড় একটা পাথড়
নিয়ে চলছে। একটা গাভী পাথড়টার উপর দাড়ানো। আর এই পৃথিবীটা গাভীর একটা শিং এর উপর
বসানো। এক শিং এর উপর পৃথিবী অনেক দিন থাকতে থাকতে গাভীর ঘাড় ব্যাথা হয়ে যায়, তাই
তো পৃথিবীকে এক শিং থেকে অন্য শিং এ নেয়ার সময় কম্পন হয়, আর এটাই ভুমিকম্প।
চারকোনা পৃথিবীর চার কোনায় চারজন দেবতা ধরে
আছে। অনেক দিন পর পর যখন তারা দেখে যে পৃথিবীর লোক সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে, তখন
চারজন চার কোনা ধরে একটু ঝাকি দিয়ে অতিরিক্ত মানুষ ঝেড়ে ফেলে দেয়।
একজন দেবতা এই পৃথিবীটা বগলতলে নিয়ে স্বর্গে
হাটাহাটি করছেন। যেদিন তার মন খারাপ থাকে সেদিন কিছুটা রাগান্বিত ভাবে বগল
পরিবর্তন করায় পৃথিবী নড়ে উঠে, আর এটাই ভৃমিকম্প।
এরিষ্টোল ও উইলিয়াম শেক্সপিয়রের মতে পৃথিবীর
অভ্যন্তরে প্রচন্ড বায়ু প্রবাহের ফলে ভুপৃষ্ঠে কম্পন হয়।
পৃথিবীটা বিশ্বাস, আশা ও ভালবাসা’র খুটির
উপরে স্থাপিত। যেকোন একটি খুটি দুর্বল হয়ে গেলে পৃথিবী কেপে উটে, আর এটাই
ভুমিকম্প।
বর্তমান বিজ্ঞান ভুমিকম্পের যে সুত্র আমাদের দিচ্ছে তা আর উল্ল্যখ করার প্রয়োজন মনে করছি না। কারন আমরা কম-বেশি সবাই জানি। উপরের কল্প-কাহিনীর সাথে তুলনা করলে কিন্ত অনেকটাই মিল পাওয়া যায়।
গত কয়েক সপ্তাহে পরপর বেশ কয়েকটি ভুমিকম্প ও তার ফলাফল আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। ধন্যবাদ সেই পরাক্রমশালী যার হাতে এই ভুমিকম্পের দ্বায়িত্ব যে পরপর একাধিক ভুমিকম্প দিয়েছেন, সবগুলি মিলিয়ে একত্রে না দিয়ে।
ভুমিকম্প এক ভয়ন্কর জিনিস
ReplyDeletewow! fantastic story forever,
ReplyDeletedelivery more story like this,
SHOWN
I am really grateful to the holder of this site who has shared this wonderful piece of writing at at this time.
ReplyDeleteHello mates, how is all, and what you want to say concerning this piece of writing,
ReplyDeletein my view its in fact awesome in support of me.
I truly love your site.. Very nice colors & theme. Did you create this amazing site yourself?
ReplyDeletePlease reply back as I'm planning to create my own website and want to know
where you got this from or just what the theme is called.
Kudos!